কলার খাওয়ার উপকারিতা। পাকা কলার উপকারিতা ২০২৩

আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো – কলার খাওয়ার উপকারিতা। পাকা কলার উপকারিতা ২০২৩,ত্বকের উন্নতি,ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে,রোগ সারাতে কলা, রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা |রাতে কলা খেলে কি হয়?,কখন, কীভাবে কলা খাবেন তা নিচে  দেওয়া হলো –

কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা খাওয়ার উপকারিতা :কলা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর উপকারী পুষ্টিগুণ। কলা হলো মিনারেল, ভিটামিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। এ ছাড়া কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। একটি মাঝারি সাইজের কলায় প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও নিয়মিত কলা খাওয়া জরুরি। কলা মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীরা এড়িয়ে চলেন। কিন্তু কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ খুবই কম। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা নিশ্চিন্তে কলা খেতে পারেন। শরীরে শক্তি জোগাতে কলার জুড়ি মেলা ভার। গরমে রোদ থেকে ফিরে অনেক সময় খুব দুর্বল লাগে। তখন চাঙ্গা হতে একটি কলা খেয়ে নিতে পারেন। 

চিকিৎসকরা ঘন ঘন কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন আকৃতিতে।

ত্বকের উন্নতি:

আমেরিকান পুষ্টিবিদ এবং “দ্য ক্যান্ডিডা” বইয়ের লেখক লিসা রিচার্ড eatthis.com-এ বিতরণ করা একটি প্রতিবেদনে বলেছেন, “একটি মাঝারি আকারের কলায় প্রতিদিনের 13% ম্যাঙ্গানিজ থাকে।

এটি পর্যাপ্ত খাদ্য-আকারের তুলা।” তার মতে, ম্যাঙ্গানিজ গ্রহণ ত্বকে কাজ করতে সাহায্য করে। ম্যাঙ্গানিজ কোলাজেন সৃষ্টির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যা শক্তি ধরে রাখে এবং মুক্ত চরমপন্থীদের থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

ক্ষতি ও বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।

পেশির টান পড়া কমায়

জন ফক্স বলেন, “কলায় ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।” শরীরে খনিজ ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং পেশীর চাপ কমাতে কলা খাওয়া উপকারী।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

কলোরাডো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন পুষ্টিবিদ মেরি রিটজের মতে, “বিভিন্ন জৈব পণ্যের বিপরীতে চিনি এবং ক্যালোরির পরিমাণ বেশি হওয়ার জন্য কলা কুখ্যাতি অর্জন করেছে। তবে, যেহেতু এতে যথেষ্ট ফাইবার এবং কোষের শক্তিশালীকরণ রয়েছে, তাই এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।” তিনি মনে করেন যে দুটি ভোজের মধ্যে হালকা ছিদ্র হিসাবে কলা খাওয়া উপকারী।

1. কলা কাঁচা অবস্থায় সবুজ হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি হলুদ হয়ে যায় এবং খাদ্যতালিকাগত সুবিধাও একইভাবে পরিবর্তিত হয়। বৈচিত্র্য দেখায় কত ফিক্সিং উপস্থিত.

2. সবুজ কলায় নিরাপদ স্টার্চের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাপ এবং চিনির পরিমাণ সবচেয়ে        কম। অ্যামিনো অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, এল-অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, আয়রন,

ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদানও থাকে যথেষ্ট পরিমাণে।

3. কলা পাকার সঙ্গে সঙ্গে রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ শর্করায় পরিবর্তিত হতে থাকে। তাই হলুদ কলায় শর্করা বেশি। সেই সাথে এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি থাকে।

4.যে কলা একটু বেশি পাকার দিকে চলে যায় অর্থাৎ খয়েরি ছোপযুক্ত কলায় শর্করার পরিমাণ আরও বেশি। খয়েরি ছোপ যত বেশি, ততই বেশি শর্করা।

আরও পড়ুনঃ- মধু খাওয়ার উপকারিতা ও সঠিক নিয়ম

রোগ সারাতে কলা :

ডায়াবেটিক রোগীদের এখন আমরা কোনও ফল খেতেই মানা নেই, শুধু পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কলার ক্ষেত্রেও তাই। যদি কোনও রোগীর ডায়েটে ১০০-১৫০ গ্রাম ফল থাকে, তা হলে তার অর্ধেক অর্থাৎ ৫০-৭৫ গ্রাম কলা খাওয়া যাবে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের পাকা কলা খাওয়া উচিত। এতে ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আবার পেট খারাপের সমস্যায় ভুগলে কাঁচকলা খেলে উপকার পাওয়া যাবে। কলা পটাশিয়াম, মিনারেল, ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ। তবে পটশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকার কারণেই, যাদের রেনাল ফেলিয়োর রয়েছে বা কোনও অসুখের কারণে পটাশিয়াম খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে, তাদের কলা না খাওয়াই ভাল। ভিটামিন, মিনারেলের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও পাওয়া যায় কলায়।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

রাতে কলা খেলে কি হয়?

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

রাতে ফল খাওয়া নিয়ে অনেকেরই নানা মত। বিশেষ করে রাতে কলা খেতে মানা করেন অনেকে। পুষ্টিবিদদের মতে, কলা এমন একটি ফল যা খুবই স্বাস্থ্যকর। দেহের প্রচুর শক্তি দেয়। তবে সর্দি লেগে থাকলে এবং অ্যাজমার সমস্যা থাকলে রাতে না খাওয়া উচিত। তবে ব্যায়ামের পর এবং সকাল-বিকালে খেলে কোনো সমস্যা নেই। কলায় আছে প্রচুর পটাশিয়াম।তাই ক্লান্তিকর দিনের পর গভীর বিশ্রামের জন্য সন্ধ্যার সময় কলা উপকারী হতে পারে। পটাসিয়াম পেশী শিথিল করে। রাতে বা সন্ধ্যায় দুয়েকটি কলা খেলে শরীর ভালো রাতের বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়। বড় সাইজের একটি কলায় রয়েছে ৪৮৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। প্রাপ্তবয়স্কের দেহে প্রতিদিনের চাহিদার ১০ শতাংশ সরবরাহ করে এই সাইজের একটি কলা। একটি কলায় রয়েছে মাত্র ১০৫ ক্যালোরি। কাজেই আপনি যদি ডিনারে ৫০০ ক্যালোরির কম গ্রহণ করতে চান তো এক কাপ দুধ আর দু’টো কলা খেয়ে ফেলতে পারেন। তবে ব্যায়ামের পর এবং সকাল-বিকালে খেলে কোনো সমস্যা নেই। পাকস্থলীর এডিস নিয়ন্ত্রণ করে কলা। রাস্তার খাবার বা বাড়ির খাবার খাওয়ার পর যাদের অবস্থা ভয়াবহ, তারা সন্ধ্যার দিকে কলা খেলে সেবনের সংবেদন কমে যাবে। কলা পাকস্থলীর আলসারও ঠিক করে।এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম। কাজেই ক্লান্তিকর দিনের পর গভীর ঘুমের জন্যে রাতে কলা উপকারী হতে পারে। পেশিকে আরাম দেয় পটাশিয়াম। সন্ধ্যা বা বিকালের দিকে একটি-দুটি কলা খেলে রাতে ভালো ঘুমের প্রস্তুতি নেয় দেহ। বড় সাইজের একটি কলায় রয়েছে ৪৮৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। প্রাপ্তবয়স্কের দেহে প্রতিদিনের চাহিদার ১০ শতাংশ সরবরাহ করে এই সাইজের একটি কলা। একটি কলায় রয়েছে মাত্র ১০৫ ক্যালোরি। তাই আপনার যদি রাতের খাবারের জন্য 500 ক্যালরির নিচে খাওয়ার ইচ্ছা থাকে তবে আপনি কিছু দুধ এবং দুটি কলা খেতে পারেন।অনেকের রাতে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে অস্থিরতা শুরু হয়। সেক্ষেত্রে কলা সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। এই ফল যথেষ্ট মিষ্টি।

কখন, কীভাবে কলা খাবেন

ভারী খাবারের সঙ্গে কলা না খাওয়াই ভাল। খাবার খাওয়ার এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরে কলা খাবেন। কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই সময়ের ব্যবধানে খেলে ফাইবার সহজেই শরীর গ্রহণ করতে পারবে।

অনেকে সরাসরি কলা খেতে পছন্দ করেন না। সে ক্ষেত্রে কলার স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার ফলের স্মুদির সঙ্গেও কলা মিশিয়ে নেওয়া যায়। কলা ও ওটসের স্মুদিও খেতে পারেন।

Leave a Comment