পড়া মনে রাখার-সেরা ৬টি গোপন উপায়

পড়া মনে রাখার উপায় – অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী বা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায়ই একটি অভিযোগ শোনা যায় যে- অনেক সময় ধরে পড়ার পরও তাদের মস্তিষ্কে পড়া মনে থাকে না। তবে সবার মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা তো এক রকম থাকে না । দেখা যায় কেউ অল্প পড়লে সেটা সেটা মনে থাকে, আবার অনেকেই আছেন, যাঁরা অনেক সময় ধরেও পড়াশোনা করার পরেও পড়া কিছুতেই মনে রাখতে পারে না।

সহজে পড়া মনে রাখার উপায় কী?

 পড়ার সময় মুখস্থবিদ্যা কোনো সমাধান হতে পারে না, মুখস্থ করার মাধ্যমে কোন ভাবে পড়া  বোঝা বা মনে রাখা কোনোটাই সম্ভব  না। তাই সহেজ পড়া মনে রাখার জন্য উপায় হিসেবে,  আপনাকে কিছু নিয়ম-কানুন জানতে হবে।নিচে তা  চলুন জেনে নিই–

আরও পড়ুন

সঠিক নিয়মে লেখাপড়া |পড়া মনে রাখার উপায়-২০২৩

বাচ্চাদের লেখাপড়া শেখানোর পদ্ধতি

প্রত্যেকবার পড়ার সময়, কী পড়বেন, কেন পড়বেন, কতক্ষণ ধরে পড়বেন সবকিছু আগে থেকেই আপনাকে টার্গেট করে নিন।  যেমন, আজকে এত পৃষ্ঠা পড়বো বা এত গুলো অনুশীলনী করবো।

একবারে কখনো ওপরে দিকে উঠা যায় না। এজন্য আপনাকে চেষ্টা ও ধুর্য দারন করতে হবে। ঠিক সেরকম ভাবে একগাদা জিনিস একবারে না পড়ে, অল্প অল্প করে পড়তে হবে। এতে করে সহজে পড়া মনে থাকবে।

আপনি কোন ভঙ্গিতে পড়তে বসছেন মনোযোগের জন্য সেটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আরাম করে সোজা হয়ে বসুন। অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া বন্ধ করবেন। চেয়ারে এমনভাবে বসবেন যে পা যাতে মেঝেতে লেগে থাকে। একটু টেবিলের দিকে ভালো ভাবে ঝুঁকে বসুন।

অনেক সময় পড়তে পড়তে মন বেশি উদ্দেশ্যহীনতাযী ভেসে যায়। তখন জোর করে বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। বরং দাঁড়িয়ে পড়ুন এবং রুমের ভিতর একটু হাঁটা-চলা ফেরা করুন। এভাবে অভ্যাস করলে দেখবেন আর অন্য-মনস্ক হচ্ছেন না।

আপনি যদি সন্ধ্যা ৭ টায় পড়তে বসেন, তাহলে প্রতিদিন এই নির্দিষ্ট সময়ে পড়তে বসুন।  তাছাড়া পড়তে বসার আগে অসমাপ্ত কাজ হাত দেবেন না।

বরং নতুন কোন টপিক নিয়ে পড়তে বসুন, এতে পড়ার প্রতি আগ্রহ অনেক টা তৈরি হবে।

 পড়া মনে রাখার ৬ টি গোপন  উপায়

১. পড়ার সঠিক সময় নির্ধারন করুন

সাধারনত ছাত্র-ছাত্রী বা শিক্ষার্থীরা সকাল বেলা ও সন্ধা বেলায় পড়াশোনা করে থাকে। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে যে, ঘুম থেকে উঠার পর সকাল বেলায় আমাদের মস্তিষ্ক সবচেয়ে সতেজ সুন্দর থাকে। যার ফলে এ সময় খুব সহজেই পড়া মনে থাকে। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উচিত সকাল বেলায় পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।

২. খেয়াল করে চোখ দিয়ে দেখে পড়তে হবে

আমরা যা কিছু মনে রাখার চেষ্টা করি তার মধ্যে ভিজ্যুয়াল মেমরি করলে সব থেকে সহজে মনে থাকে। মানুষ যা কিছু চোখে দেখে তা সহজে মনে রাখে। কাউকে যদি কিছু মনে করতে বলা হয়, খেয়াল করে দেখবেন, সে ঐ সময়ের ঘটনা মনে করার চেষ্টা করে। তাই যখন পড়া ধরা হয় তখন কিন্তু আমাদের চোখের সামনে বইয়ের পৃষ্ঠা ভেসে উঠে। এতে বুঝা যায় মানুষ দেখার মাধ্যমে বা ভিজ্যুয়াল ওয়েতে সবচেয়ে বেশি শিখে থাকে।  তাই পড়া মনে রাখার জন্য বেশি বেশি ছবি, ছক, বইয়ের পৃষ্ঠা ও আনুষাঙ্গিক চিত্র দেখতে হবে।

৩. অনুশীলন করুন

আপনার মুখস্ত পড়া মনে রাখতে হলে বার বার সেটি অনুশীলন করতে হবে। তাছাড়া পড়ার পাশাপাশি যদি আলোচ্য বিষয়গুলো লিখে লিখে পড়তে পারেন। কারণ পড়া মনে রাখার জন্য যেকোন বিষয় পড়ার সাথে সাথে লিখতে পারলে খুব সহজেই আয়ত্তে করতে পারবেন।

এর জন্য রিহ্যাশড অনুশীলনের পাশাপাশি রচনার প্রবণতা তৈরি করতে হবে।

৪. নিমনিক ব্যবহার করা

নিমনিক মানে হচ্ছে, মনে রাখার বিশেষ উপায়। আমাদের ব্রেইন সহজে এলেমেলো কোন কিছুর চাইতে উপায় সাজানো বিষয়ের উপর বেশি মনোযোগ দিতে পারে। তাই কোন টপিকস পড়ার আগে ছক বা টেবিল আকারে সাজিয়ে নিলে বা নিমনিক  তৈরী করে নিতে পারলে দ্রুত পড়া মনে থাকবে।

৫. মার্কার ব্যবহার বা কালারিং করে পড়তে পারেন

মার্কার ব্যবহার করা পড়ার সময় বেশ কার্যকর। কারণ আপনি যখন কোন কিছু মার্ক করে রাখবেন তখন ঐ শব্দটার উপর আগ্রহ ও আকর্ষণ বেড়ে যাবে। এছাড়া ব্রেইনের ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট বেড়ে যায়। যার ফলে সহজেই মনে রাখতে সুবিধা হয়।

৬. সারমর্ম করে পড়ুন

পড়ার সময় অনেক লেখা থেকে থাকে যেগুলো অনেক বড় হয়।  যেগুলো মনে রাখা বেশ কঠিন হয়ে যায়। তাই বড় লেখা গুলোকে ছোট ছোট করে নিয়ে পড়তে হবে।

আমাদের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলটি পড়ে,আপনারা সহজে পড়া মনে রাখার এর ৬টি  উপায় জেনে নিলেন । তাই এবার পড়তে বসে এগুলো প্রয়োগ করে ফেলেন, সবকিছু সহজেই মনে রাখতে পারছেন।

এছাড়াও, আপনি যদি এই পোস্টটি পছন্দ করেন তবে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

Leave a Comment